“এই করোনাকালে, গত মে মাসে আমার মা-বাবা দুজনেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমার অফিস এবং অন্যান্য জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করেও কোনোভাবেই পাচ্ছিলাম না।“

মোঃ সাদ্দাম হোসেন। সাতরাস্তা, তেজগাঁও-এ অবস্থিত বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরে অফিস সহায়ক পদে চাকরি করেন।
“এই করোনাকালে, গত মে মাসে আমার মা-বাবা দুজনেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমার অফিস এবং অন্যান্য জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করেও কোনোভাবেই পাচ্ছিলাম না।
মা-বাবার জন্য হয়তো কিছু করতে পারব না- এই ভেবে সেসময় মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিলাম। শেষ চেষ্টা হিসেবে ব্র্যাকের তেজগাঁও শাখায় যোগাযোগ করি। সেখানে ব্র্যাককর্মী অথুশি রানী দেবনাথ আন্তরিকভাবে আমার কথা শোনেন এবং নিয়ম অনুযায়ী সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দেন।
তারপরও আমার মনে দ্বিধা ছিল, দেশের এমন পরিস্থিতিতে আমি ঋণ পাব কিনা? আমাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়। পরদিন সেগুলো জমা দিই এবং ১ লক্ষ টাকা ঋণের আবেদন করি।
আবেদনের পরদিনই আমাকে জানোনো হয় যে, আমার ঋণ পাশ হয়েছে। আজই আমি টাকা নিতে পারব। এত তাড়াতাড়ি টাকা পাব তা আমি ভাবতেও পারিনি।
ঋণ যেদিন পেলাম সেদিনই অর্থাৎ গত ১২ই মে টাকা নিয়ে বাবা-মায়ের চিকিৎসা শুরু করি। সকলের শুভকামনায় তাঁরা দুজনেই সুস্থ আছেন। আমি ও আমার পরিবার এই উপকারের কথা কোনোদিন ভুলব না। ব্র্যাকের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।”